সম্মাননা প্রদান বিষয়ে অমিতাভ সম্পাদক জানান, সুদীর্ঘ ২০ বছরের পথচলায় কখনো এ ধরনের আয়োজন করা হয়নি। আমরা মনে করতাম সম্মাননা জানানোর মতো এখনো আমাদের অবস্থান তৈরি হয়নি। এবার একবিংশ বছরের দ্বারপ্রান্তে এসে এর গুরুত্ব অনুধাবন করি। তাই সমাজের বিশিষ্ট কয়েকজনকে সম্মাননা জানাতে পেরে অত্যন্ত খুশী এবং তাতে আমরা নিজেরা সম্মানিত হয়েছি।
সমাজ সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ক পত্রিকা অমিতাভ’র দুই দশক পূর্তি উৎসব উদযাপন উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দু’দিনব্যাপী কর্মসূচির ১ম দিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিশিষ্ট ১০জনকে পথিকৃৎ সম্মাননায় তুলে দেয়া হয়। নগরের থিয়েটার ইন্স্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) গ্যালারীতে অমিতাভ সম্পাদক ও প্রকাশক শ্যামল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উৎসব উদ্বোধনী সভায় উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি ছিলেন একুশেপদক প্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক প্রফেসর ড. হরিশংকর জলদাস।
পথিকৃৎ সম্মাননায় ভূষিত হন রিফাত মোস্তফা টিনা (নির্মাতা ও প্রযোজক), শতদল বড়ুয়া বিলু (নাট্যচর্চা ও অভিনয়), চিন্ময় বড়ুয়া রিন্টু (তরুণ শিল্পদ্যোক্তা), পীযুষ দস্তিদার (শিল্প নির্দেশক), অনুজ কুমার বড়ুয়া (আলোকচিত্রী), শরণ বড়ুয়া (সঙ্গীতশিল্পী), সুলভ চৌধুরী (তরুণ উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মী) ও কেমি বড়ুয়া মুক্তা (সমাজ-সদ্ধর্মসেবা)।
গত বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) নগরের থিয়েটার ইন্স্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অমিতাভ’র দুই দশক পূর্তি উৎসবের ২য় দিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য আরো ১০ জন ব্যক্তিকে গুণীজন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছে অধ্যাপক শিশির বড়ুয়া (প্রবন্ধ সাহিত্য), ডাঃ মৃদুল কান্তি বড়ুয়া চৌধুরী (সমাজসেবা), এড. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (পরিবেশবিদ), ডাঃ প্রীতি বড়ুয়া (চিকিৎসা সেবা), সাংবাদিক সমীর কান্তি বড়ুয়া (সাংবাদিকতা), বিশ্বজিৎ চৌধুরী (ঔপন্যাসিক), স্থপতি আশিক ইমরান (নগর পরিকল্পনাবিদ), প্রদীপ দেওয়ানজী (নাট্যচর্চা), সুমন বড়ুয়া (সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক অভিবৃদ্ধিতে) ও প্রমা অবন্তী (ওড়িশী নৃত্যচর্চা)। উল্লেখ্য বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারমান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়াকে পথিকৃৎ সম্মাননা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।পুষ্পস্তবক প্রদান ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন সঞ্চিতা বড়ুয়া, শ্রাবন্তী বড়ুয়া, সুস্মিতা তালুকদার, অধিতি বড়ুয়া। সম্মাননা প্রাপ্তজনদের জীবনী পাঠে অংশ নেন অধ্যাপক বিকিরণ বড়ুয়া, নিপুণ বড়ুয়া, নিশীতা বড়ুয়া, সোমেন বড়ুয়া অপি, বিজয় চৌধুরী সানি।
সম্মাননা প্রদান বিষয়ে অমিতাভ সম্পাদক জানান, সুদীর্ঘ ২০ বছরের পথচলায় কখনো এ ধরনের আয়োজন করা হয়নি। আমরা মনে করতাম সম্মাননা জানানোর মতো এখনো আমাদের অবস্থান তৈরি হয়নি। এবার একবিংশ বছরের দ্বারপ্রান্তে এসে এর গুরুত্ব অনুধাবন করি। তাই সমাজের বিশিষ্ট কয়েকজনকে সম্মাননা জানাতে পেরে অত্যন্ত খুশী এবং তাতে আমরা নিজেরা সম্মানিত হয়েছি। তবে অনেকে হয়তো ভাববেন কেন এতোজনকে সম্মাননা জানানো। আমি বলবো- যেহেতু ২০ বছর অতিক্রম করেছি তাই ২০ জনকে সম্মাননা জানানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছি। আগামীতে এ ধারা অব্যাহত রাখা যাবে কিনা জানিনা। তবে প্রচেষ্টা থাকবে অন্তত আগামী ২৫ বছর পূর্তিতে অর্থাৎ রজতজয়ন্তী উৎসবে এ ধরনের আয়োজনের।