নারী জাগরণের নাটক নয়, একজন ব্যক্তি মানুষের তথাকথিত অনুশাসনকে ভেঙে ফেলার মানসিক শক্তিকে চিহ্নিত করার নাটকই হলো বৃত্তের বাইরে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মঞ্চস্থ হলো কথাসুন্দর নাট্যদলের ২য় প্রযোজনা সন্তোষ চক্রবর্তীর ঠিকানা নাটকের কাহিনী অবলম্বনে বৃত্তের বাইরে নাটক।
নাটকের নির্দেশক বরেণ্য নাট্য ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. কুন্তল বড়ুয়া বলেন, নারী জাগরণের নাটক নয়, একজন ব্যক্তি মানুষের তথাকথিত অনুশাসনকে ভেঙে ফেলার মানসিক শক্তিকে চিহ্নিত করার নাটকই হলো বৃত্তের বাইরে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আগ্রহে দুটি সফল মঞ্চায়নের পর আবার মঞ্চে আসে নাটকটি। নাট্যপ্রাণ দর্শকরা নাটকটির বেশ প্রশংসা করেছেন।
একজন দর্শক বলেন, স্বাধীনতার সূত্র ধরে একটু উন্মুক্ত পথে হাঁটতে চাইলে বাঁধা। অতঃপর সংসার, নিজের সন্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার নির্দেশ। অবশেষে সীমাবদ্ধ স্বাধীনতাকে উপেক্ষা করে প্রতিবাদের প্রতিধ্বনি। এরই নাম বৃত্তের বাইরে। চোখ সরানোর সময় নেই। প্রতিটি সংলাপ, মুভমেন্ট, দৃশ্যপট ও আলো নজর কেড়েছে।
বৃত্তের বাইরে নাটকে ফুটে উঠেছে সমসাময়িক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে নারী স্বাধীনতার দাবি আদায়ের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত নাট্যকার, নাট্যসমালোচক অংশুমান ভৌমিক বলেন, যৌন ঈর্ষার হাত ধরে নখদাঁত বের করল পুরুষতন্ত্র। একদিনের মধ্যে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল সুখী গৃহকোণের বাঁধানো ছবি। খুলে গেল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আলগা বাঁধন। বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে এসে স্বয়ংসিদ্ধ হওয়ার পথ বেছে নিলেন লাবণী। নিপুণ নির্দেশনাগুণে তা কত মনোহারী হতে পারে, কথাসুন্দরের দ্বিতীয় প্রযোজনা ও কুন্তল বড়ুয়ার নির্দেশনা তার আদর্শ উদাহরণ।