বর্তমান প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে একসাথে বসে চলচ্চিত্র দেখাই এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। তারপরও এ সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে যে আয়োজনটি আজ ‘অমিতাভ’ করছে তা প্রশংসার দাবীদার। এতে একদিকে যেমন সৌহার্দ্যের বাতাবরণে বোধের জায়গা তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে ধর্ম-দর্শন চর্চায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস।
চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এ মাধ্যমের মাধ্যমে চিন্তা-চেতনা-সৃজনশীলতার বিকাশ লাভ করে। আমাদের পুরনো কৃষ্টি-সভ্যতা-সংস্কৃতিকে চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা সম্ভব। বর্তমান প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে একসাথে বসে চলচ্চিত্র দেখাই এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। তারপরও এ সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে যে আয়োজনটি আজ ‘অমিতাভ’ করছে তা প্রশংসার দাবীদার। এতে একদিকে যেমন সৌহার্দ্যের বাতাবরণে বোধের জায়গা তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে ধর্ম-দর্শন চর্চায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস।
বৌদ্ধ সমাজ সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ক পত্রিকা ‘অমিতাভ’ এর আয়োজনে গত ৩০ মার্চ ২০১৯ (শনিবার) সকালে নগরের নন্দনকাননস্থ ফুলকি মিলনায়তনে ‘অমিতাভ বুড্ডিস্ট ফ্লিম ফেস্টিভ্যাল’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। দিনব্যাপী আয়োজনের প্রথম পর্বে অমিতাভ সম্পাদক ও প্রকাশক শ্যামল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারের উপসচিব, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া। উদ্বোধক ছিলেন বিশিষ্ট প্রযোজক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা রিফাত মোস্তফা, প্রধান আলোচক ছিলেন ২১নং জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন ও বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক পূর্বকোণের সিনিয়র সহ-সম্পাদক প্রণব বড়ুয়া অর্ণব। ফেস্টিভ্যালের সচিব ইমন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেস্টিভ্যালের আহ্বায়ক সুজন মুৎসুদ্দী। দিনব্যাপী এ ফ্লিম ফেস্টিভ্যালে বিভিন্ন দেশের ৪টি ডকুমেন্টারী ও ৩টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। সভায় বক্তারা আগামীতে এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আয়োজকদের প্রতি আহ্বান জানান।