চেতনায় আন বোধি
মানুষ হয় আপন চেতনায় উত্তম
পশু তার পাশবিকতায় অধম
এইতো মানুষ আর পশুতে তফাত
অথচ মানুষ হারায় তার নামসত্তা।
অধর্ম আচরণে বর্বর হয়ে উঠে ড্রাগনের মত
কখনো সিংহমূর্তি হয়ে
সদম্ভআস্ফালন অশান্ত হয় ধরাতল
কামনার বহ্নিশিখায় পুড়ে অসহায় নারীকুল।
পুরুষের অক্টোপাশে থেকে
নারী যেথা রুহিবে অধীন
বাজিবেনা সেথা মুক্তির বীন।
স্বার্থের লাগি হিংস্র হয় মানুষ
অহমিকার মোহে হয় চঞ্চল
যেন ইতর প্রাণীর মত্ততা।
লোভ দ্বেষ মোহের আবর্তে
চলে অকুশল ক্রিয়া
কখনো বুদ্ধভক্ত মানুষের চলে
অধর্ম আচরণ আর মিথ্যার বেসাতি
হিংসায় মত্ত হয় অসত্যেরে নীতি
এতো অমৃত বারিতে যেন গবল ফোটা
শীলের মাঝে দুঃশীলের উদয়
তাই শুদ্ধ সত্ত্ব হল বোধি হল বোধি চেতনারে
কর প্রোজ্জল ওহে বুদ্ধ ভক্তজন
এই মোর শেষ নিবেদন।
অসত্যের বাঁধ ভাঙ্গো
জীবন যেখানে প্রতিক্ষণে ক্ষণে ভয়ভয়াল
অত্যাচারীর নিপীড়নে আজ টালমাটাল
মত্ত লোকের লোপুপ থাবার করাল গ্রাস
হানে বারে বারে করিতে মানবের সর্বনাশ।
লাঞ্ছনা যত মুখোমুখি হয় এই জীবন
ব্যর্থ প্রয়াসে রুখিয়ে দাঁড়ায় সেই যে জন।
লক্ষ ছোবল হানে যে মতি দুশমন শির
হিংস্র থাবায় ভুলুন্ঠিত শির। (উদগত)
সমাজ গগনে শিরমনি সেজে অধর্মবাজ
যায়না গো চেনা পাশবিকতার অন্তসাজ।
যুগের প্রবাহে কতনা নিঠুর করিছে কেলি
দর্পভরে মানবতা দেয় দু’পায়ে ঠেলি
ওই নব রাক্ষসের যুজিবার তরে তরুণ দল
জাগিয়া ওঠোরে ছিড়িয়া মোহের স্বপ্নজাল
জলতরঙ্গ ভাসায় যেমতি বালির বাঁধ