সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিষদ বাংলাদেশের আয়োজনে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে ২৮তম জাতীয় উচ্চাঙ্গ সংগীত সম্মেলন-২০২৫।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দুই দিনের এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বাঁশি শিল্পী উস্তাদ আজিজুল ইসলাম।
এবারের সম্মেলন উৎসর্গ করা হয়েছে উপমহাদেশের বিখ্যাত সংগীত মনীষী উস্তাদ আমীর খসরুর স্মরণে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে উদ্বোধক উস্তাদ আজিজুল ইসলাম সমবেতদের উদ্দেশে বলেন, “মোবাইল আগ্রাসনের এই যুগে ছেলে মেয়েদেরকে সংস্কৃতি জগতে সম্পৃক্ত রাখবেন, যা তাদের মনুষ্যত্ব ও জ্ঞানকে অনেক প্রসারিত করবে। এতে সমাজ ও দেশ অনেক উপকৃত হবে।”
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী। স্বাগত বক্তব্য দেন সদারঙ্গ সম্পাদক সমীর চক্রবর্ত্তী।
উদ্বোধনী পর্বের পর প্রথম দিনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় সদারঙ্গের শিক্ষার্থী সদস্যদের সমবেত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।
পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর রচনা এবং সুরে, ইমন রাগে প্রথমে ঝাঁপতালে তারানা এবং পরে ত্রিতালে ‘সুরদাতা নাহি আয়ে’ বন্দিশটি পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর যোগ রাগে খেয়াল পরিবেশন করেন রাজবাড়ীর শিল্পী ড. সুশান্ত কুমার সরকার। তিনি বিস্তার অংশে অপূর্ব সুরে শ্রোতা-দর্শকদের আবিষ্ট করেন। সাথে কাফী রাগে ঠুমরী সুর উপরি পাওনা ছিল শ্রোতাদের জন্য।
তাকে তবলায় সহযোগিতা করেন ময়মনসিংহের শিল্পী মনি শংকর আইচ, হারমোনিয়ামে ছিলেন নাটোরের শিল্পী আলমগীর পারভেজ সুমন ও তানপুরায় মীর মোহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ সানী।
এরপর রাজশাহীর শিল্পী শায়লা তাসমিন পরিবেশন করেন সরস্বতী রাগে খেয়াল। তিনি খেয়াল শেষে একটি হোরি পরিবেশন করেন। তাকে তবলায় সহযোগিতা করেন রাজশাহীর শিল্পী সঞ্জয় বিশ্বাস। তার সাথে তানপুরায় ছিলেন মিসেস রুচিরা বড়ুয়া।
দিনের শেষ শিল্পী ফেনীর শ্যামল চন্দ্র দাশ বেহালায় চারুকেশি রাগ পরিবেশন করে শ্রেতাদের মন জয় করেন। সহযোগী শিল্পী ছিলেন তবলায় চট্টগ্রামের প্রীতম আচার্য।
শুক্রবার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রভাতি অধিবেশন শুরু হবে সকাল ৯টায়। এতে থাকবে কিশোর শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা।
এরপর হবে ‘তবলার বোল-বাণী শিক্ষার সাথে লয় সাধনার গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনার।
সন্ধ্যা ৬টায় হবে এবারের সম্মেলনের অন্তিম অধিবেশন- উচ্চাঙ্গ সংগীতানুষ্ঠান।
এই অধিবেশনার উদ্বোধন করবেন সংগীত শিল্পী রিয়াজ ওয়ায়েজ। পরিবেশনায় থাকবেন শিল্পী দোলন কানুনগো (মোহনবীনা), প্রমিত বড়ুয়া(কণ্ঠ) ও জয়দীপ ভঞ্জ চৌধুরী(সেতার) এবং আনন্দী সংগীত একাডেমির সমবেত তবলা লহড়া।