গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল বইমেলার ২৭তম দিন। একদিন পরই পর্দা নামবে মাসব্যাপী এই মেলার। শুক্রবার বিকেল ৫টায় সমাপনী আয়োজনে বইমেলার প্রতিবেদন প্রকাশ করবে মেলা পরিচালনা কমিটি।
এর আগের দিন মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি এবং বিভিন্ন প্রকাশনা সংশ্লিষ্টদের আলাপকালে অনেকেই তাদের হতাশার তথ্য দিয়েছেন। মেলার কিছু পরিসংখ্যানও বলছে, এবার বই প্রকাশের সংখ্যা কমেছে। আর বিক্রি নিয়েও হতাশার কথা বলেছেন প্রকাশকরা।
যদিও বইমেলায় কত টাকা বিক্রি হয়েছে, সেটির সঠিক পরিসংখ্যান জানার কোনো সুযোগ নেই। কারণ অনেক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকেই বিক্রির তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয় না।
আলোচনা, গান ও কবিতা
বৃহস্পতিবার লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি সায়ীদ আবুবকর, কবি মিতা আলী এবং কবি ও শিশুসাহিত্যিক জামসেদ ওয়াজেদ।
বিকালে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘একটি অভ্যুত্থানের জন্ম ও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রেজাউল করিম রনি। আলোচনায় অংশ নেন সৈয়দ নিজার। সভাপতিত্ব করেন কাজী মারুফ।
সাংস্কৃতিক পর্বে কবিতা পাঠ করেন মনজুর রহমান, রফিক হাসান, জান্নাতুল ফেরদৌসী, শোয়াইব আহমদ, ফেরদৌস আরা রুমী, নাইমা হোসেন, ড. নাইমা খানম, এনামুল হক জুয়েল ও আমিরুল মুমিনিন মানিক।
এছাড়া ছিল মিজানুর রহমানের পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘লেমন নৃত্যকলা একাডেমি’ এর পরিবেশনা।
সংগীত পরিবেশন করেন ছন্দা চক্রবর্তী, ইমরান খন্দকার, নাসরিন বেগম, আফসানা রুনা, মো. আনিসুজ্জামান, সুষ্মিতা সেন চৌধুরী, আফরিদা জাহিন জয়িতা, শাহীন আলম, ডলি মণ্ডল, শফি উদ্দিন ও দিতি সরকার।
যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন শিমুল বড়ুয়া (তবলা), রাজিব আহমেদ (কি বোর্ড), মো. মেজবাহ উদ্দিন (অক্টোপ্যাড), সাইদ হাসান ফারুকী (লিড গিটার) এবং পল্লব দাস (বেইজ গিটার)।
সমাপনী দিন যা থাকছে
শুক্রবার বইমেলার সমাপনী দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মেলায় থাকবে শিশুপ্রহর।
সমাপনী অনুষ্ঠানে কবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার ২০২৫, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪, চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার ও শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হবে।