জনপ্রিয় বৃটিশ-বাঙালি কণ্ঠশিল্পী লাবনী বড়ুয়ার একক সঙ্গীতায়োজন ‘লাবনি বড়ুয়া আনবাউন্ডেড’ ইস্ট-লন্ডনে এক ব্যাতিক্রমী মাত্রা সংযোজন করেছে। কানায় কানায় পূর্ণ মিলনায়তনে দর্শকেরা অনুষ্ঠান শেষে বিপুল প্রশংসা ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
বিশ্ব সংস্কৃতি ডেস্ক : রাঙতা আর্টসের উদ্যোগে গত ৬ এপ্রিল রবিবার ইস্ট-লন্ডনের রিচমিক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে শিল্পী একে একে ‘বিমূর্ত এই রাত্রি আমার মৌনতার সুতোয়’, ‘তখন তোমার একুশ বছর বোধয়, আমি তখন অষ্টাদশীর ছোঁয়ায়’, ‘জোছনা করেছে আড়ি আসে না আমার বাড়ি’, ‘একটা গান লিখো আমার জন্য’, ‘আমার বন্ধু চিকন কালিয়া, দেইখো আসিয়া’ সহ আরো একাধিক বাংলা, হিন্দি ও গজল গান পরিবেশন করেন। এতে ‘ও আমার বন্ধুগণ চিরসাথী পথচলায়’ গানটি লাবণী বাংলা ভাষায় এবং ইউক্রেনের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী একা কাটেরিনা গানটি ইউক্রেনের ভাষায় গেয়ে সংগীতানুষ্ঠানকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলেন। যা অনুষ্ঠানকে ভিন্নমাত্রা এনে শ্রোতাদের মনজয় এবং প্রশংসা কুড়িয়েছে।
অনুষ্ঠানে লাবনীর সঙ্গে কীবোর্ড সঙ্গত করেন সুনীল যাদব, তবলায় পিয়াস বড়ুয়া, অক্টোপ্যাডে রিজান আহমেদ, কণ্ঠ এবং বান্দুরা সহযোগিতায় করেন ইউক্রেনের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী একা কাটেরিনা। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন মেধাবী আবৃত্তিশিল্পী ও কবি তানজিনা নূর-ই সিদ্দিকী। আলো প্রক্ষপনে ছিলেন সাহাব উদ্দিন বাচ্চু, সানি, সাবা ও জান্নাত।

অনুষ্ঠান শেষে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় লাবনী বলেন, মানুষের এই ভালবাসা ভোলার নয়। বিভিন্ন দূরের শহর থেকে আমার গানে শুনতে ছুটে এসেছেন এটা আমাকে আরো বেশি রেওয়াজ ও সাধনায় অনুপ্রাণিত করবে। আশা করি দর্শকেরা, ভূলভ্রান্তি যদি অজান্তে হয়ে থাকে তা খুব ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। লাবনীর সঙ্গীতগুরু পন্ডিত চিরঞ্জীব চক্রবর্তী বলেন, আমার ছাত্রীর গান এত মানুষ ভালবেসে শুনতে এসেছেন এটা দেখতে পেরে আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনাদের আশীর্বাদ পেলে লাবনী আরো দূর এগিয়ে যাবে আমার স্থির বিশ্বাস আছে।
সৌধ পরিচালক টি এম আহমেদ কায়সার বলেন, এই সঙ্গীতানুষ্ঠান নিরীক্ষাধর্মী নতুন গানের জন্যে এক নতুন দরোজা খুলে দিলো। ইউক্রেনিয়ান বান্দুরা ও তাদের ঐতিহ্যের স্মারক সব সঙ্গীতের সঙ্গে আমাদের দক্ষিণ এশীয় সঙ্গীতের আশ্চর্য সংযোগ এবং এসব নিয়ে অপূর্ব সব উপস্থাপনা আমার খুব ভালো লেগেছে। এছাড়াও অনুষ্টান শেষে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন হিলসাইড ট্রাভেলের হেলাল খান, গ্লোওমেনের প্রতিষ্ঠাতা স্নিগ্ধা মিষ্টি, সুজন বড়ুয়া প্রমুখ।

লাবনী ইতিমধ্যেই বৃটেন সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাঙালি দর্শকদের দৃষ্টি কেড়েছেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ থাকলেও লাবনী মূলত পরিবেশন করেন বলিউড, বাংলা উপশাস্ত্রীয়, ফোক এবং আধুনিক গান। হলভর্তি দর্শকেরা অনুষ্ঠান শেষে খুব আনন্দ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ইস্ট-লন্ডনে এই মাপের অনুষ্ঠান খুব কম দেখেছেন বলে মন্তব্য করেন।